আশরাফুল মাখলুকাত আল্লাহর সৃষ্টি শ্রেষ্ঠ।মানুষের দেহও মহান আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন।
মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি রেখে দিয়েছেন বহু রহস্য। যেমন, মানুষের আঙুলের ছাপ তিনি রেখে দিয়েছেন মহা রহস্য, যা কখন নকল করা সৃষ্টি সম্ভব না। পবিত্র কোরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ বলেনঃ
اَیَحۡسَبُ الۡاِنۡسَانُ اَلَّنۡ نَّجۡمَعَ عِظَامَہٗ ؕ ০ بَلٰی قٰدِرِیۡنَ عَلٰۤی اَنۡ نُّسَوِّیَ بَنَانَہٗ
“মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার হাড় সমূহ একত্রিত করব না ? বরং আমি তার আঙ্গুলগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।” -সূরা কেয়ামাহ-৩-৪
১ এটা কসমের জওয়াব। এখানে ‘ইনসান’ বলতে কাফের ও নাস্তিককে বুঝানো হয়েছে, যারা কিয়ামতকে বিশ্বাস করে না। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল। মহান আল্লাহ অবশ্যই মানুষের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে একত্রিত করবেন। এখানে বিশেষ করে অস্থি বা হাড়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, অস্থিই হল (মানবদেহ) সৃষ্টির মৌলিক কাঠামো।
২ বড় বড় হাড়গুলো একত্রিত করে পুনরায় তোমার দেহের কাঠামো প্রস্তুত করা এমন কিছুই নয়। আমিতো তোমার দেহের সূক্ষ্মতম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি তোমার আঙ্গুলের জোড়গুলোও পুনরায় ঠিক তেমন করে বানাতে সক্ষম যেমন তা এর আগে ছিল, তবে তোমাদের পুনরুথিত করতে অসক্ষম হওয়ার কোন কারণ নেই। [কুরতুবী]
কাফেরদের প্রশ্নঃ
যে,মানুষ মারা গেলে তার হাড় পৃথিবীতে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন হয়ে যায়।ফলে,কেয়ামতের দিন কিভাবে এসকল লোকদেরকে চিহ্নিত করা হবে ? সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন,তিনি কেবল তোমাদের হাড় – হাড্ডিকে একত্রিক করা নয় বরং তোমাদের আঙ্গুলের ছাপ পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে সক্ষম।
ব্যক্তির পরিচয় নির্ধারণের ব্যাপারে কোরআন কেন আঙ্গুলের ছাপ সম্পর্কে কথা বলেছে ?
১৮৮০ সালে স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট এর গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আঙ্গুলের ছাপকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।পৃথিবীতে এমন দু’জন ব্যক্তি নেই যাদের আঙ্গুলের ছাপ এক রকম।এমন কি দুই যমজ ভাইয়েরও না।একারণে বিশ্বব্যাপী যে কোনো বাহিনী অপরধীদেরকে চিহ্নিত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে।
আজ থেকে প্রায় ১৫০০বছর আগে কে জানত যে প্রত্যেক মানুষের আঙ্গুলের ছাপ স্বতন্ত্র ?অবশ্যই মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তা জানেনা। সুবাহানাল্লাহ।