মুমিন বান্দার প্রতিটি কাজ আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট উদ্দেশ্য হবে। এবাদত বন্দেগী একনিষ্ঠতার সাথে আদায় করবে।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
و مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ ۬ۙ حُنَفَآءَ وَ
یُقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ذٰلِکَ دِیۡنُ الۡقَیِّمَۃِ ؕ
আর তাদেরকে কেবল এ নির্দেশই প্রদান করা হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহ্র ইবাদত করে তাঁরই জন্য দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে এবং সালাত কায়েম করে ও যাকাত প্ৰদান করে। আর এটাই সঠিক দ্বীন ।
আল-বায়্যিনাহ:৫
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নেক আমল তথা ইবাদত-বন্দেগির জোর তাগিদ দিয়েছেন আহলে-কিতাবদেরকে তাদের কিতাবে আদেশ করা হয়েছিল খাঁটি মনে ও একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করতে, সালাত কায়েম করতে ও যাকাত দিতে। এরপর বলা হয়েছে, এ নির্দেশটি শুধুমাত্র বর্তমান আহলে কিতাবদের জন্য নয়; বরং সঠিক মিল্লাতের অথবা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সমস্ত কিতাবের তরীকাও তাই।
আরও আল্লাহ তাআলা বলেন।
لَنۡ یَّنَالَ اللّٰہَ لُحُوۡمُہَا وَ لَا دِمَآؤُہَا وَ لٰکِنۡ یَّنَالُہُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ
আল্লাহর কাছে পৌঁছেনা পশুর গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। সুরা হজ্জ : ৩৭
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা’আলা আরও বলেন
قُلۡ اِنۡ تُخۡفُوۡا مَا فِیۡ صُدُوۡرِکُمۡ اَوۡ تُبۡدُوۡہُ یَعۡلَمۡہُ اللّٰہُ ؕ وَ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ
বলুন, ‘তোমাদের অন্তরে যা আছে তা যদি তোমরা গোপন কর বা ব্যক্ত কর, আল্লাহ্ তা অবগত আছেন । আর আসমান্সমূহে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তাও তিনি জানেন। আল্লাহ্ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল ইমরান:২৯
قُلۡ اِنِّیۡۤ اُمِرۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ اللّٰہَ مُخۡلِصًا لَّہُ الدِّیۡنَ
বলুন, ‘আমি তো আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি, আল্লাহর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর ইবাদাত করতে;
হাদিস শরীফ-এ বর্ণিত আছে।
، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ
আমি ‘উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১
হযরত আয়েশা (রা) থেকে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু) বলেছেন। মক্কা বিজয়ের পর আর হিজরত নেই। তবে জিহাদ ও নিয়ত রয়েছে। যখন এই তোমাদেরকে জিহাদের জন্য তলব করা হবে তখনই তোমরা বের হয়ে পড়বে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান ও পরাক্রমশালী প্রতিপালকের বরাতে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: আল্লাহ সৎ ও অসৎ কাজ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তারপর তা স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছেন । অতঃপর কোন ব্যক্তি কোন সৎকাজ সংকলন করলে তা না করিলেও তাকে আল্লাহ তাআলা একটি পূর্ণ নেক দান করেন। আর যদি সে উক্ত কাজ করে তবে আল্লাহ তা’আলা দশটি থেকে সাতশত পর্যন্ত, এমনকি তার চেয়েও বেশি সওয়াব তাকে দান করেন।আর কেউ কোন অসৎ কাজের সংকল্প করলে তা না করলে আল্লাহ তার বিনিময়ে তাকে একটি পূর্ণ নেক দান করে আর সে সেই অসৎ কাজটি করলে আল্লাহ তা’আলা তার কারণে তার একটিমাত্র গুনা লেখা (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
وعن ابى هريرة عبد الرحمن بن صخر قال قال رسول الله صلى الله وسلم ان الله تعالى لا ينظر الى اجسامكم ولا الى صوركم ولكن ينظر الى قلوبكم واعمالكم ،(رواه مسلم)
হযরত আবু হোরায়রা ( রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তোমাদের শরীর ও চেহারা আর প্রতি তাকানো। বরং তোমাদের মনের ও কর্মের দিকে দৃষ্টিপাত করেন ।( মুসলিম শরীফ)