পবিত্র কা’বা ঘর ( বাইতুল্লাহ্ শরীফ)-এর গায়ের সাথে লাগানো রয়েছে জান্নাত থেকে অবতীর্ণ “হাজরে আসওয়াদ”।হাজরে আসওয়াদ বেহেস্তের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। কাবা ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মাতাফের দেড় মিটার উঁচুতে অবস্থিত। দেয়ালের ভেতরে পোঁতা কালো থালার মতো গোল পাথর। একটি রূপার ফ্রেমে আটকানো। দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৭ ইঞ্চি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ ” জান্নাত থেকে ” হাজরে আসওয়াদ “-অবতীর্ণ হয়েছিল দুধ হতেও বেশি সাদা অবস্থায়। কিন্তু এটিকে আদম সন্তানের গুনাহ এমন কালো করে দিয়েছে। “
জামে আত-তিরমিযীঃ ৮৭৭, মিশকাতুল মাসাবিহ্ঃ ২৫৭৭,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) ” হাজরে আসওয়াদ “-সম্পর্কে বলেছেনঃ ” আল্লাহর কসম! কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্ তায়ালা এ টিকে উঠাবেন, তখন এর দু’টি চোখ থাকবে যা দিয়ে সে দেখতে পাবে। তার একটি জিহ্বা থাকবে যে জিহ্বা দিয়ে সে কথা বলবে এবং যে তাকে ঈমানের সাথে চুমু দিয়েছে তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে।”
জামে আত-তিরমিযীঃ ৯৬১, সুনানে ইবনে মাজাহ্ঃ ২৯৪৪,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাদিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি, ” হাজরে
আসওয়াদ ” ও ” মাকামে ইবরাহীম “-জান্নাতের ইয়াকুত সমূহের মধ্যে দু’টি ইয়াকুত। আল্লাহ্ তায়ালা এ দু’টির নূর (আলো) দূর করে দিয়েছেন। যদি এ দু’টির নূর আল্লাহ্ তায়ালা দূর করে না দিতেন, তবে এরা পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তাকে আলোকময় করে দিত।”
জামে আত-তিরমিযীঃ ৮৭৮, মুসনাদে আহমাদঃ ৭০০০,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুস সায়িব (রাদিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে দু’ রুকনের ( হাজরে আসওয়াদ ও রুকুনে ইয়ামমানী) মধ্যবর্তী স্থানে এ দোয়া পড়তে শুনেছিঃ ” রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাও ওয়া ফিল-আখিরাতি হাছানাতাও ওয়াকিনা আজাবান্নার। “
সূরা আল-বাকারাহ্ঃ ০২, আয়াতঃ ২০১
অর্থঃ হে আল্লাহ্ তায়ালা! আপনি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।
সুনানে আবু দাউদঃ ১৮৯২, মুসনাদে আহমাদঃ ১৫৩ ৯৯,
হে আল্লাহ্ তায়ালা! আমাদেরকে ” হাজরে আসওয়াদ “-ও চুম্বন করার তাওফিক দান করুন।আমীন